শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদর ও চকরিয়ার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর খুটাখালীর মধ্যবর্তী এলাকায় ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন মহাসড়কের পূর্ব পাশের্^ সামাজিক বনায়নের বিশালাকার প্লট দখল করে ঝুঁপড়ি নির্মান করার ৩ দিন পার হলেও উচ্ছেদ করতে পারেনি বনবিভাগ। এমনকি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে দখলদারদের সাথে বন কর্মকর্তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কোন ধরনের মামলা কিংবা প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে উক্ত প্লটের উপকারভোগীদের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা ও জোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে সর্বমহল থেকে।সুত্রে জানা যায়, পাশর্^বর্তী খুটাখালী ইউনিয়নের শিয়াপাড়া এলাকায় মৃত আলী আহমদের পুত্র একাধিক মামলার আসামী আবদুর রশিদ প্রকাশ পেটান, ছৈয়দ আলমের পুত্র এনামুল হক, আলী হোসেনের পুত্র জসিম মেম্বার, তৈয়ম গোলালের পুত্র ইমাম শরীফের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ মহিলা চকরিয়া উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ২০০৪-০৫ সালের সামাজিক বনায়নের আনুমানিক ৩০ কানি মত রিজার্ভ জায়গা রাতের অন্ধকারে ৮টি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে দখল করে নেয়। পরদিন খবর পেয়ে বিকাল ২টার দিকে প্লটের কয়েক উপকারভোগী বিষয়টি দেখতে গেলে পেটানের নেতৃত্বে আরো কয়েক ব্যক্তি ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঐদিকে গেলে গুলি করে হত্যা করারও হুমকি প্রদর্শন করে। এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিট কর্মকর্তা, হেডম্যান, ভিলেজার ও স্টাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা দখলবাজ সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুমনগর এলাকার মনুর আলম প্রকাশ বাসুর পুত্র ডাঃ সাহাব উদ্দীন নামের এক পথচারীকে উপর্যুপরী মারধর ও বনবিভাগের কয়েকজন স্টাফের উপর চওড়া হয় দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক তাৎক্ষনিক চকরিয়া থানাকে অবহিত করলে এসআই সুকান্ত দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। সরকারী বিশালাকার সামাজিক বনায়নের রিজার্ভ জায়গা দখল, হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে রেঞ্জ কর্মকর্তার নিরব ভূমিকায় স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে। তারা বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত প্লট দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করে প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তরেরও দাবী উঠে। এ ব্যাপারে জানার জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।